বোয়ালখালীতে গণসংযোগকালে ইসলামী ফ্রন্ট (মোমবাতি) প্রার্থী অধ্যক্ষ সামাদ
মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম
-
প্রকাশের সময় :
বুধবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৩
-
২০৮
বার পড়া হয়েছে
নির্বাচিত হলে প্রাচীন হাওলার নামানুসারে সংস্কৃতি কেন্দ্র করব
চট্টগ্রাম-৮ আসন উপনির্বাচনে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ আল্লামা স.উ.ম আবদুস সামাদ গতকাল (১৯এপ্রিল) বুধবার বিকালে বোয়ালখালীর পোপাদিয়া ইউপির হাওলা, অন্নপূর্ণ হাট, ঈশ্বর ভট্টের বাজার, হাবীবুল্লাহ শাহ মাজার,
বাদামতল,গোরস্তানের টেক, সৈয়দপুর স্কুল, টেম্পু স্টেশন,ফজল ফকিরের মাজার, বাঘ্যের টেক, নুরুল হকের দোকান, মীনা গাজীর মাজার, ইমাম নগর এলাকায় মোমবাতি প্রতীকে ভোট চেয়ে ব্যাপক গণসংযোগ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী ফ্রন্টের প্রধান নির্বাচনী সমন্বয়ক এম সোলায়মান ফরিদ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি অধ্যাপক আবুল মনছুর দৌলতি, স.ম এনামুল হক, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ওবাইদুল হক হক্কানী, এম জসীম উদ্দীন, এস এম ফখরুদ্দীন, কাজী জলিল, কাজী মিজানুল কাদের, কে এম শামসুল আলম, এস এম মোদ্দাচ্ছের, মামুন মেম্বার, ছাত্রসেনার কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি আবদুল্লাহ আল জাবের, আরিফুল ইসলাম, মাষ্টার জাহাঙ্গীর, শাহ আলম, নুরল আলম, আমানত, দেলোয়ার হোসেন আনিস, শওকত হোসাইন ফারুকী, পৌরসভা নেতা জাহাঙ্গীর আলম, ওসমান গণি, ফোরকান কাদেরী প্রমুখ।
গণসংযোগকালে অধ্যক্ষ সামাদ বলেন, আগামী ২৭ এপ্রিল মোমবাতির বিজয় হলে সুবিধা বঞ্চিত অবহেলিত মানুষের বিজয় হবে। এজন্য সম্মিলিতভাবে পেশী শক্তির চোখ রাঙ্গানিকে উপেক্ষা করে ভোট কারচুপির চেষ্টাকে প্রতিহত করতে হবে। আদর্শের নিকট পরাজিতদের অস্ত্র সন্ত্রাস। বোয়ালখালীবাসী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে। তিনি আরো বলেন, ইতিহাসে প্রাচীন হাওলা মোঘল আমলের জনবহুল একটি প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল। এখানে ইসলাম প্রচারে সৈয়দ মারুফ (র.) ও সৈয়দ কুতুব (র.)’র আগমন হয়। তাছাড়াও এখানে সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের তীর্থ স্থান। কালাচাঁন্দ ঠাকুর বাড়ী উপমহাদেশের প্রসিদ্ধ তীর্থ স্থান। ঐতিহাসিক কারণে এদতঞ্চল ইতিহাসে স্মারক হয়ে আছে। আজও এখানে হাওলা নামে এলাকা, স্কুল-মাদ্রাসা, পাঠাগার, পোস্ট অফিস । আমি নির্বাচিত হলে হাওলা নামানুসারে সংস্কৃতি কেন্দ্র করব। যাতে অত্র এলাকার মানুষ শিক্ষা-দীক্ষায় অগ্রসর হয়ে জাতীয় সমৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে। এছাড়াও অত্র নির্বাচনী এলাকার অসহায়, দুস্থ, এতিম, গরিব বিধবা মহিলা, কন্যাদায়গ্রস্থ পরিবার ও ছিন্নমুল জনগণের জন্য দুঃস্থ তহবিল গঠন করব । পিছিয়ে পড়া গ্রামীণ মহিলাদের স্বাবলম্বী করার জন্য ফ্রি কুটির শিল্প প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। নারী শিক্ষার উন্নয়নে অনুন্নত এলাকায় মহিলা কলেজ ও মহিলা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করব।
Please Share This Post in Your Social Media
এ বিভাগের আরো সংবাদ